প্রতিদিন ‘দুপুরে যে তথ্যটি আমরা জানাই সেটা সাধারণত রাত ১১টার তথ্য।
তখন পর্যন্ত ৫৫টি জেলা আক্রান্ত ছিল। এখন স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। তবে বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো প্রথমে বিদেশ ফেরত আক্রান্তদের মধ্য হতে তারপর আক্রান্ত জেলা থেকে নতুন জেলায় প্রবেশ করায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিএসএমএমইউর প্রফেসর অব কার্ডিওলজি, হেড-হার্ট ফেইলিওর অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত সারাদেশে পরীক্ষা নিশ্চিত না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বলা যাবে না যে ওই এলাকায় আক্রান্ত নেই।
যে কতগুলো জেলা এখনো পর্যন্ত সংক্রমিত হয়নি এর বেশিরভাগ জেলাতেই এখনো পরীক্ষা করার সুবিধাও তৈরি হয়নি। ফলে ওই এলাকাগুলোতে করোনা রোগী না পাওয়ার একটা অন্যতম কারণ হতে পারে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়।
এরপর ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জনায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ এবং ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো সীমিত আকারে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে বলেও জানা যায়। আর ২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার আওতা বাড়ানো হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকার ভেতরে ১০টি প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকার বাইরে ১১টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা করা হলেও এখনো বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগ করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। ফলে করোনা পরীক্ষার ফাঁক থেকেই এই জেলাগুলো আক্রান্ত হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।