গাজীপুর মহানগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রুবেল খান মন্টু সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় মেম্বারের সুযোগ্য সন্তান রুবেল খান মন্টু। বাবা আলেফ খান মেম্বারের রয়েছে বর্ণাঢ্য জীবন। গাজীপুর মহানগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বোর্ড বাজার এলাকার ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের সন্তান ছিলেন আলেফ খান মেম্বার।
জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি মানুষের সেবায় কাজ করে গিয়েছেন।সারা জীবন ধরে অসহায় দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থেকে তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলে গিয়েছেন রুবেল খান মন্টুর পিতা আলেফ খান মেম্বার।
বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে সাবেক গাছা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হয়ে কাজ করে গিয়েছেন। তাইতো আলেফ খান মেম্বার ছিলেন সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত একটি মুখ। বাবার ন্যায় রুবেলখান মন্টুও অতি সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাচ্ছেন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নানান অত্যাচার সহ্য করেও আওয়ামী রাজনীতি থেকে তিনি দূরে সরে যাননি। রাজপথের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী সৈনিক।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি অনেক সময় নিজের অর্থ খরচ করে রাজপথে রাজনীতি করেছেন। দলকে শক্তি জোগানোর জন্য তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। রুবেল খান মন্টু বলেন কোনো কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। রাজনীতিতে এসেছি মানুষকে কিছু দিতে, কোন কিছু নিতে আসিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আজীবন নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাব। তিনি বলেন, দল আমাকে কি দিল সেটি কখনো বড় করে দেখি না। আসলে আমি দলকে কি দিয়েছি সেটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালবাসি। তাই আজীবন বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। এজন্য যত বাধা বিপত্তি আসুক, কিংবা যত চক্রান্তই আসুক। কখনো এ পথ থেকে দূরে সরে যাব না। আমার বিরুদ্ধে যারা চক্রান্ত করবে অপপ্রচার করবে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কোন কিছুর ভয় দেখিয়ে রুবেল খান মন্টুকে আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না। রুবেল খান মন্টু বলেন গাজীপুরের যাঁরা আমার প্রিয় নেতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জনপ্রিয় মেয়র আলহাজ্ব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সহ সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা নিয়ে আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
রুবেল খান মন্টু বলেন, করোনাকালে মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে ছিল, কাজের অভাবে সাধারণ মানুষের যখন তাদের জীবন চালাতে কষ্ট হচ্ছিল, সেই মুহূর্তে আমি আমার সাধ্যমত তাদের কাছে ছুটে গিয়েছি এবং আমার নিজস্ব অর্থায়নে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। এখনো সেই সহযোগিতা অব্যাহত আছে। যতদিন করোনার ভয়াবহতা থাকবে ততদিন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাব।
তিনি বলেন এবার বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে। সেই বন্যাতে আমি সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আমার সাধ্যমত তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। তিনি সকলের দোয়া চান, যেন আগামীতে তার পিতার ন্যায় এমনিভাবে অতি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে যেতে পারেন।
রুবেল খান মন্টু বলেন,১৫ আগস্ট ২১ শে আগস্ট আমাদের জাতির জন্য কলঙ্কের দিন।১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে কিছু স্বার্থপর বেঈমান। তারই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমান গংরা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশুন্য করার যে চক্রান্ত করেছিল সেই চক্রান্ত সফল হয়নি।
তাই তিনি এই ঘৃণ্য চক্রান্তের এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন অবিলম্বে বাংলার মাটিতে হয় সেজন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সবশেষে তিনি আবারও সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন এবং আগামী পথচলায় সকলকে সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকার আহ্বান জানান।