আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরায় হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ভ্যানের উপর সন্তান প্রসবের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ার পর আজ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করতে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাউদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী।
চিকিৎসার অভাবে ওই গৃহবধূর ভ্যানের উপর সন্তান প্রসবের ঘটনায় কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ইচ্ছাকৃতভাবে সেবা না দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে কিনা এবং সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কোন ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোন প্রকার গাফিলতি ছিল কিনা। সে বিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃবদিউজ্জামান কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
এ লক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ৭ মে-২০২০ দুপুর ১২ টার সময় তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফলতি ছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করেন।
এপ্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাউদ্দিন বলেন সদর হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজগুলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এবং ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত পহেলা মে সকাল ৭ টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের ঘোন ইউনিয়ন এর অন্তগত ছনকা নিবাসী নরসুন্দর বিধান এর স্ত্রী ও সাতক্ষীরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এর ঝুটিতলা ঋষিপাড়ার পরশ দাস এর কন্যা অন্তঃসত্ত্বা শিমুলী রাণী, দু’টি ক্লিনিক ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স ওই গৃহবধূকে চিকিৎসা না দেওয়ায় হাসপাতালের বাইরে ভ্যানের উপর সন্তান প্রসব করেন।
এর পর সে তার পিত্রালয় সাতক্ষীরা সদরের ঝুটিতলায় গমন করেন এবং সেখানেই অবস্থান করছেন।
ভ্যানের উপর সন্তান প্রসবের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হলে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল টিভি ও সংবাদপত্রে ফলাও করে প্রকাশ হলে স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়।
এঘটনার পর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল সদ্য সন্তান প্রসবকৃত মা ও তার সন্তানকে দেখতে যান এবং বিষয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন, এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুদানকৃত ৫ প্যাকেট বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক নগৎ অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসেন।