আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পড়ুয়া ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সোমবার ৩০ মার্চ সকাল ১০টার দিকে সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া জৈনক ছাত্রী বাড়ির পাশে আম বাগানে ছাগলের জন্য ঘাস কাঁটতে যায়। এ সময় গোঁবরদাড়ী গ্রামের ছদোর উদ্দিনের লম্পট পুত্র দুই সন্তানের জনক আব্দুস ছালাম (৪৫) তার ধান ক্ষেতের কাজ শেষ করে ঐ পথ দিয়ে আসছিলো।এসময় লম্পট ছালামের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ঐ স্কুল ছাত্রীর উপর। সে তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে আম বাগানের ভেতরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আর এ ঘটনাটি দেখতে পায় একই এলাকার সাগর নামে এক ব্যক্তি। সে ঘটনাটি স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে অবহিত করলে ছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন।
তথ্যানুসন্ধানে আরো যানা গেছে ইতিপূর্বে লম্পট ছালাম গ্রামের এক গৃহবধুর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে সে যাত্রায় রেহাই পায়। তবে সম্প্রতিক নাবালিকা শিশু ধর্ষণ চেষ্টার এই লোম হর্ষক ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ঐ রাতে ফিংড়ী ইউনিয়নের কিছু লোক লম্পট ছালামের পক্ষে হয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করে এব্যপারে ইউপি সদস্য মহাদেব ঘোষ জানান, আমি ঘটনাটি শোনা মাত্র মেয়ের বাড়িতে যাই। আর মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা বিষয়ে জানতে পারি।
এব্যাপারে মেয়ের ভাই জানান, আমার বোন ছোট তাকে লোভ দেখিয়ে আমার পাশের গ্রামের চাচা সম্পর্কের বয়স্ক মানুষ হয়ে সে এই কাজটা করলো কিভাবে ? সামাজিক সংগঠন বেস্টটিম সাতক্ষীরা সূত্রে জানা গেছে বিষয় টি ১লাখ ২০ হাজার টাকায় রফা করা হয়েছে। এবং মেয়েটিকে তার পরিবার অনাত্র সরিয়ে ফেলেছে।বিস্ট টিম সাতক্ষীরা সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলে শিশুটিকে তার পরিবার থানায় হাজির করে, সেখানে তার জবান বন্দি অনুযায়ী তার ভাইকে বাদি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বিষয় টি নিশ্চিত করে জানান অভিযুক্ত কে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রযেছে।আজ ২ এপ্রিল-২০২০ শিশুটির মেডিকেল রিপোর্টের জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল এ ভর্তি করা হয়।