চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
চাটমোহর উপজেলা তথা পাবনা জেলা’র প্রথম করোনা শনাক্ত এবং প্রথম করোনা বিজয়ী মো: জহুরুল ইসলাম’কে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আজ ৩ মে রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রামে অবস্থিত জহুরুল ইসলামের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ায় তাকে যৌথভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন চাটমোহর রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি ও ‘সাপ্তাহিক সময় অসময়’ পত্রিকা সম্পাদক কে. এম. বেলাল হোসেন স্বপন এবং ‘সাপ্তাহিক সবুজ আলো’ পত্রিকা সম্পাদক মো: সিদ্দিক আলম সবুজ। ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাশাপাশি সম্পাদকদ্বয় জহুরুল ইসলাম’কে মিষ্টি’র প্যাকেট প্রদান করেন।
এ সময় মো: নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যগণ, আত্মীয়-স্বজন সহ গ্রামের প্রচুর নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
‘ফিরে দেখা’
মো: জহুরুল ইসলাম (৩২) ব্যক্তি জীবনে একজন টাইলস্ মিস্ত্রী। পেশাগত কাজের প্রয়োজনে তিনি নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করতেন। নারায়ণগঞ্জে কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ দেখা দিলে তিনি গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে সড়কপথে বামনগ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন।
তথ্য পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গত ১৪ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের PCR ল্যাবে প্রেরণ করে। দু’দিন পর ১৬ এপ্রিল পরীক্ষার ফলাফলে জহুরুলের দেহে কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ আসে। জহুরুল ইসলামের শরীরে কোনো প্রকার উপসর্গ না থাকলেও স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার জন্য ১৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মো: জহুরুল ইসলাম চাটমোহর উপজেলা তথা পাবনা জেলায় প্রথম করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ায় পুরো জেলায় করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমে বামনগ্রাম’কে এবং পরবর্তীতে চাটমোহর উপজেলা ব্যাপী ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ‘আইসোলিশন’ ওয়ার্ডে ১৪দিন চিকিৎসার পর পুনরায় জহুরুল ইসলামের নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল কোভিড-১৯ ‘নেগেটিভ’ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ১ মে সুস্থ হিসেবে তাকে ছাড়পত্র প্রদান করে। ছাড়পত্র লাভের পর গতকাল ২ মে জহুরুল নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন।