কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা এলাকায় মৃত আনছর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৭৫), তার স্ত্রীঃ রজ্জবনের নেছা, ছেলে মাসুদ রারা ও সোহেল রানা কে সম্পত্তির লোভে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক ভাবে অত্যাচার করে আসছে। সামাজিক ভাবে ফয়সালা করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও এর কোন প্রতিকার হয়নি। ঘটনাটি লাকসাম পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লাকসামে।
এভাবে দিন দিন তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলছে, গত ১৪-১২-২০২০ ইং তারিখে আমি ও আমার স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে অমানুষিক অত্যাচার ও মারধর করে আমাদের কে সমস্ত সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য আমাদের নিজ ঘরেই জিম্মি করে রাখে। এমন কি চিকিৎসার জন্য ও বাহির হতে দেয়নাই।
পুনরায় গত ১৫ই জানুয়ারি আমার ৩য় পুত্র সোহেল রানা বাড়িতে আসা মাত্রই তাকে মারধর শুরু করে, আমি পিতা হয়ে বাঁধা দিতে গেলে, আমাকে শ্বাস রোদ্ধু হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে, আমার স্ত্রী ও অন্য ছেলেরা আমাকে বাঁচিয়ে নেয়। পরে ঐ দিনই আমি লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। লাকসাম থানায় সেকেন্ড অফিসার এসআই জাহাঙ্গীর অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পায়। এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করায়।
থানায় অভিযোগ করার কারনে বিবাদী অত্যাচার ও মানুষীক নির্যাতন বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
গত ১৪ই এপ্রিল আমার ৩য় পুত্র সোহেল রানাকে হত্যার উদ্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করে আমি ও আমার স্ত্রী বাঁধা প্রদান করিলে আমাদের থাকার ঘরে ডুকে অবরুদ্ধ করে, ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে সমস্ত সম্পত্তি তার নামে লিখে না দিলে সবাইকে কোপিয়ে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ির গেইটে অবস্থান করে।
আমি সম্ভ্রান্ত ঘরের সন্তান ও একজন সম্মানী ব্যবসায়ী, সর্বদিক বিবেচনা করে দীর্ঘদিন বিবাদী ও তাহার সন্ত্রাসী বাহিনীর সকল অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করিয়াছি। বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী শারীরিক ভাবে খুবই নাযুক, তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সমুচিন জবাব না পেয়ে নিরুপায় হয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর গত ১৮ই এপ্রিল নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনিক সহায়তা কামনা করি। অভিযোগ নাম্বার (১৭৪৩ এম)।
প্রায় ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না পেয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও হতাশ জীবনঝাপন করিতেছি।
অভিযোগকারী মোস্তফা কামাল খোকন জানান, এটা স্থানীয় রাজনীতিবিদরা দেখতেছে, আমি কিছুই বলতে পারবোনা।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, এই বিষয়ে তদন্ত চলতেছে, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।