ঝালকাঠি প্রতিনিধি :ঝালকাঠির রাজাপুরে ইভটিজিং এর বিচার চেয়ে পিতা-পুত্রসহ ৩ জন হামলায় শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেওতা গিঘড়া মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরেই রাজাপুর থানা পুলিশ মোঃ সাইম খান ও মোঃ কামরুল খান কে আটক করেছে ।
মোঃ সাইম খান ও মোঃ কামরুল খান উপজেলা শুক্তাগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক ও ১ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান খান এর পুত্র।
জানাগেছে, শুক্তাগড় ইউনিয়নের বনকাঠি এলাকার নবম শ্রেনী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে একই এলাকার সেকেন্দার আলী হাওলাদার এর পুত্র মোঃ জামাল হাওলাদার (৪০) বিভিন সময়্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শিক্ষার্থীর পরিবার নিরুপায় হয়ে গত সোমবার (২৪ আগস্ট) রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের জের ধরে আজ সন্ধ্যায় কেওতা মাদ্রাসার সামনে অভিযোগের স্বাক্ষী নবীন হোসেন (৩৫) কে হঠাৎ দেশীও ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপ্যাথারি কুপানো শুরু করে। এ সময় নবীনের বড় ভাই মনির হোসেন (৪৫) ও বাবা মোঃ আনোয়ার হোসেন (৮৫) বাধা দিলে তারাও হামলার শিকার হয়। স্থানীয়ারা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন কে ভর্তি রেখে নবীন ও মনির এর অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাতেই দ্রুত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
অপরদিকে জামাল হাওলাদার তার দলবল নিয়ে কেওতা মাদ্রাসার সামনে হামলার পরেই ঐ শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়েও হামলা চালায় এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
শিক্ষার্থীর মা শেফালি বেগম জানায়, কয়েক মাস পূর্বে শুক্তাগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান খান পুত্র খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মোঃ মাহাদী হাসান খান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাত করে তার বাবার বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। গত ২০ এপ্রিল ঐ চাল ভ্রাম্যমান আদালত উদ্ধার করে এবং মাহাদীকে ৬ মাসের সাজা প্রদান করেন। এরপর থেকেই তাদের পরিবারের ওপর বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে।
শুক্তাগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান খান সম্পূর্ন অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, নবীন ও তার পিতা আনোয়ার হোসেন লাঠি-সোটা নিয়ে জামালসহ তার লোকজনকে ধাওয়া করেন। পরে কি হয়েছে তা আমি জানিনা।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সাইম ও কামরুল কে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।