দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাজধানীতে অবরোধ কর্মসূচি পালনের অভিযোগে তাদের শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে এই শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। দলের নাম ব্যবহার করে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেজন্য শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টা এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে ৫ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তার স্বাক্ষরে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে জানান রিজভী।
বিএনপি সূত্র জানায়, শোকজ পাঠানো দুই নেতার মধ্যে মেজর (অব.) হাফিজ পল্টনের কর্মসূচিতে সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও তার প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। অন্যদিকে শওকত মাহমুদ দলের নির্দেশনা অমান্য করে সরাসরি নিজে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলের হাইকমান্ড এ ধরনের অঘোষিত কর্মসূচিকে হঠকারী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন। অবশ্য দুই নেতার শোকজে বা আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে নেতারা সরাসরি পল্টন মোড়ের অবরোধের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের তিনি পানি সম্পদমন্ত্রী ছিলেন।
শওকত মাহমুদকে ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। এর আগে তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। শওকত মাহমুদ বিএনপি সমর্থিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদেরও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কও তিনি।