বৃ’দ্ধ কালীকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ছোট থেকে দেখেছেন, গ্রামের পাড়ায় কারও মৃ’ত্যু হলে শেষকৃত্য করতে যেতে হয় পাশের গ্রামে। গ্রামে কবরস্থান না থাকা নিয়ে আ’ক্ষেপ করতে দেখেছেন পড়শীদের। ভারতের পশ্চিমব’ঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের তালিতে সে মুশকিল আসানে পারিবারিক জমি কবরস্থানের জন্য দান করলেন তিনি।





এদিকে বর্ধমান ১ ব্লকের ওই গ্রামে পাশাপাশি বাস হিন্দু-মুসলমানের। গ্রামের সাধপুকুরের পাশে বেশ কিছুটা জমি রয়েছে ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা কালীকৃষ্ণদের। কয়েক বছর আগে তা থেকেই ১ একর ৬ শতক জমি দান করার কথা জানিয়েছিলেন ৮৮ বছরের ওই বৃ’দ্ধ। সম্প্রতি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে সে জমি কবরস্থানের জন্য নথিভুক্ত হয়েছে। দিন পাঁচেক আগে কবরস্থানে ঢোকার মুখে নামাজ পড়ার জায়গাও বাঁধানো হয়েছে।
অবসরপ্রা’প্ত সরকারি কর্মী কালীকৃষ্ণ বলেন, আমা’র জায়গায় গ্রামের মানুষের শেষকৃত্য হচ্ছে, ভেবে ভালো লাগছে। জমি দেওয়ার পরে তারা আমাকে মিষ্টি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলেন। বলেছি, ক’র্তব্য করেছি মাত্র।





এলাকাবাসীর প্রয়োজনে জমি দান বৃ’দ্ধ এর আগেও করেছেন। নিজেদের সে জমি রাস্তার জন্য দিয়েছিলেন গ্রামে ‘কাকাবাবু’ বলে পরিচিত কালীকৃষ্ণ।





এদিকে কবরস্থানের জমি পেয়ে খুশি শেখ মইনুদ্দিন, শেখ আলি আরশাদদের জানান, কাকাবাবু কত বড় উপকার করেছেন, বলে বোঝানো যাব’ে না। হিন্দু-মুসলিম যে আলাদা নয়, তা উনাকে দেখে শেখা যায়।
স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম শেখ সরিফউদ্দিন বলেন, সামান্য কিছুটা জায়গা রেজিস্ট্রি ‘হতে বাকি আছে। কালীকৃষ্ণবাবু বারবার তা সারতে বলছেন। তার মতো মানুষ মেলা ভার।





প্রতিবেশী সমীর ভট্টাচার্যের কথায়, কালীকাকুকে নিয়ে আমর’া গর্বিত।





কালীকৃষ্ণর স্ত্রী মা’রা গেছেন। চার ছেলের পরিবারের স’ঙ্গে থাকেন বৃ’দ্ধ। তার নাতি সাহেব মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আমা’দের এলাকায় যে ভেদাভেদ নেই, তা দাদুর কাজেই পরিষ্কার।
সূত্র: আনন্দবাজার