নিজস্ব প্রতিবেদক এস এম শিমুল রানা:
মাগুরা সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের ধলহরা গ্রামে ফুলমিয়া শেখ সরকারের খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির উপকারিতা হয়ে থাকেন। হতদরিদ্র এই কৃষক ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাউল কেনার সুযোগ পান বছরে ৫ মাস। চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে ২ দফায় ৬০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু পেয়েছেন ৩০ কেজি। এই কৃষকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ডিলার তাকে কার্ডে দুই মাসের সই করিয়ে এক মাসের চাল দিয়েছেন।
একই অভিযোগ ধলহরা গ্রামের ভবে খাতুন ও ঠান্ডা বিবির। তারাও এক মাসের চাল পেয়েছেন। ঠান্ডা বিবির মেয়ে ভেলকা খাতুন বলেন, ডিলার চালতো দেননি উল্টো গালাগাল করেছেন।
ওই এলাকাই বিভাগের নিযুক্ত চালের ডিলার হলেন ইউপি ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃগফফার মোল্লা।
ফুলমিয়া শেখ, ভবে খাতুন ও ঠান্ডা বিবি সবাই এই ডিলারের কাছ থেকে চাল নিয়ে থাকেন।
অভিযোগ সিকার করে গফফার মোল্লা বলেন,চাল না নিয়ে সই নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই চাল কয় মাস দেওয়া হয় কার্ডধারিদের অনেকেই সে তথ্যও জানেন না। সুরু থেকেই নিজ দায়িত্বে এসবের সেবা করে আসছি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতার জায়গা থেকে এই অভিযোগ করতে পারে কেও।
খাদ্য বিভাগ তথ্য অনুসারে মাগুরা জেলার ৩৬ টি ইউনিয়নে খাদ্য -বান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীর সংখা ২৪ হাজার ৭৮১ জন।
৪ উপজেলাই ৬৭ জন এই চাল বিক্রি করে থাকেন। বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেমবর,ওক্টোবর ও নভেম্বর — এই পাচ মাস সুভিধা- ভোগিরা ১০ টাকা করে ৩০ কেজি চাল কেনার সুযোগ পান।
২০১৬ সাল থেকে এ কর্ম সুচি চলছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউপিতে খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির মোট ৮৮২ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। এর মদ্ধে সবচেয়ে কম ২৫ টি কার্ড রয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্য দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই সুবিধাভোগীর সংখা অন্তত ২৮০ জন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন অভিযোগ, চেয়ারম্যান ক্ষমতা বলে নিজের ওয়ার্ডসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার পছন্দের মানুষকে এই সুবিধা দিয়েছেন। পুরো ইউনিয়নে এ কর্মসুচির সুবিধা পাওয়া বেক্তিদের একটি বর অংশ হতদরিদ্র নয়।
তাদের অনেকে ১০ টাকা কেজিতে চাল কিনে তা বাজারে বিক্রি করে মিনিকেট চাল কিনে বারি ফেরেন। অভিযোগ অসিকার করেছেন দারিয়াপুর ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন বড় ওয়ার্ডে সুবিধাভোগী বেসি থাকতে পারেন। তাছাড়া তালিকা ওয়ার্ড সদস্যরাই করেছিলেন। এটি যাছাইবাছায়ের দায়িত্ব সরকারি কর্মকর্তাদের। সেখানে কে পাবে, কে পাবেন না এটা আমরা নির্ধারন করার কেও নই।
অন্তত ৫ জন ডিলারের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাদ্যান্ধব কর্মসূচি চালুর পর গত চার বছরে এটি নিয়ে কেও মাথা ঘামাইনি। তদাকরি কর্মকর্তারা নাম মাত্রই সই করে চলে গেছেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে ১২ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘তদাকরি কর্মকর্তারা মাঠে নেই,স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন’শিরোনামে একটা প্রতিবেদন ছাপা হয়।
এই কাজের সঙ্গে সংস্লিষ্ট প্রশাসনের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্থে প্রথম অালোকে বলেন,মাঠ পর্যায়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, মাগুরায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীর পাঁচ ভাগের এক ভাগ হতদরিদ্র নয়। এই তালিকা দিয়েছিলেন ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানেরা। সেখানে বৈষম্য থাকা স্বাভাবিক। তা চারা চার বছরে অনেকের জীবন মানে পরিবর্তন এসেছে। ফলে এটি এখন পুনরায় যাছাই বাছায় করা জরুরী।
জেলা খাদ্য কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক অাশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে তদারকি বারানো হয়েছে। অনিয়ম পেলে শুন্য সহনশীল নিতি গ্রহন করা হচ্ছে।
তালিকা আবার যাচাই বাছাই করা হবে। তাছারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী এ কর্মসুচির সুবিধাভোগীর সংখা দ্বিগুন করার ঘোষনা দিয়েছেন।
পাঁচ মাসেন যায়গাই এটি আরো কয়েক মাস বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। নতুন তালিকা যখন হবে, সেটি ব্যপকভাবে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমেই করা হবে।