কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
ভূরুঙ্গামারী সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ বাড়ির আঙ্গিনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসিকে দেখে হতচকিত হয়ে যান। রাতের বেলা ইউএনও এবং পুলিশ দেখে তার ভয় হয়, কোন অপরাধ করেছেন কিনা! কিন্তু না, তারা যখন সালাম বিনিময় করে তাঁর কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন এবং তাঁর জন্য চাল এনেছেন শুনে অাবেগে কেঁদে ফেলেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ উপস্থিত সকলের জন্য দোয়া করেন। তঁার দুই কন্যা সন্তানের জন্য একটি ঘর বরাদ্দের আবেদন জানান।
তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের মজিরন বেওয়া (৭০) মহানস্বাধীনতা যুদ্ধে তঁার সামনে পাকবাহিনীর হায়েনারা তঁার স্বামী ময়েজ কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা করে এবং মজিরনকে ক্যাম্পে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। তখন থেকে মজিরন মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। রাতের বেলা ইউএনও ও পুলিশ বাড়ির ভিতরে দেখে প্রথমে ভয় পেলেও পরে সাহায্যের চাল এবং নগদ টাকা সাহায্য পেয়ে তার পরিবারের লোকজন খুশি হয়ে যায়।
করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন শ্রমজীবি ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল
ইসলাম ও ওসি আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার বাগভান্ডার, খয়বর মোড়, থানাহাট বাজার, ধামেরহাট, কামাতআঙ্গারীয়া ও দফাদার মোড়ে চাল, মাস্ক ও বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় সহকারী কমিশনার(ভূমি)জাহাঙ্গীর আলম, পিআইও শাহিনুর আলম ,ওসি (তদস্ত) জাহিদুল ইসলাম এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল হক উপস্থিত ছিলেন।