আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রণীত ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ তথা ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা আইন একটি যুগান্তকারী আইন। এটি বাংলাদেশকে আর একটি নতুন অধ্যায়ে সূচিত করার আইন।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার বনানীস্থ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভার্চুয়াল কোর্ট বসিয়ে তাদের আদালত পরিচালনার কথা চিন্তা-ভাবনা করে। সেক্ষেত্র বলতে পারি বাংলাদেশ খুব একটা পিছিয়ে নেই।
তিনি বলেন, সাক্ষ্য আইন সংশোধন হওয়ার পর এই অধ্যাদেশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিচারিক কাজগুলো শুরু করা যাবে। তখন আমাদের নিম্ন আদালত এবং বিচারিক আদালত তথ্য-প্রযুক্তি মাধ্যম ব্যবহার করে ট্রায়াল, সাক্ষ্য গ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শুনতে পারবে এবং রায় প্রদান করতে পারবে।
এর আগে এই অধ্যাদেশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগ প্রাকটিস নির্দেশনার মাধ্যমে কার্যবিধি নির্ধারণ করে দিয়ে অন্যান্য মামলার শুনানি বিশেষ করে জামিন শুনানি গ্রহণ করতে পারবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট আগে ছিল না। তাই এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। তবে এই অধ্যাদেশ প্রণয়নের চিন্তাভাবনার শুরু থেকে বিচারকদের জন্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান থেকে তারা স্বল্প পরিসরে জামিন শুনানিসহ অন্যান্য কাজ করতে পারবেন বলে মনে করি।