ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে সীমান্তের অবৈধ পথে ভারত গিয়ে দুই বছর কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরল ১৭ বাংলাদেশি নারী। রবিবার ৫টার সময় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরা দুই বছর ভারতে কারাভোগ করছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। পরে রাত ৮টার দিকে থানা থেকে দুটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।
ফেরত আসা নারীরা হলো বাগেরহাট জেলার আব্দুর রশিদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন, মুজিবুর রহমানের মেয়ে তানিয়া খাতুন, যশোর জেলার আব্দুল লতিফের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, কাশেম আলী খার মেয়ে আফরোজা খাতুন, মুক্ত ফকিরের মেয়ে সনিয়া বেগম, নড়াইল জেলার শওকত শেখের মেয়ে খাদিজা খাতুন, পারভেজ মোল্যার মেয়ে পলি খাতুন, তরফু মোল্যার মেয়ে বিউটি খাতুন, তোতা মোল্যার মেয়ে রুনা বেগম, বখতিয়ার রহমানের মেয়ে রুমানা খাতুন, সালমন মোল্যার মেয়ে সেফালি বেগম, আমির আলীর মেয়ে তহমিনা খাতুন, চাঁদপুর জেলার সফিক মোল্যার মেয়ে রুমা বেগম, চুয়াডাঙ্গা জেলার মহিন আলীর মেয়ে রহিমা খাতুন, পটুয়াখালী জেলার নাসির সিকদারের মেয়ে নাসরিন বেগম, সুনামগঞ্জ জেলার মোকারম আলীর মেয়ে শিল্পী বেগম ও খুলনার ছলেমান হোসাইন এর মেয়ে আসমা খাতুন। এদের সকলের বয়স ২০ থেকে ২৮ বছর এর মধ্যে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, এসব নারীরা পাসপোর্ট বাদে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতের পুনে শহরে গিয়ে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে তারা জেলহাজতে যায়। পরে ভারতের রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। সেখানে ২ বছর থাকার পর দেশে এসেছে ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।