নিজস্ব প্রতিবেদক এস এম শিমুল রানা :
করোনা ভাইরাস সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের পরিধি বাড়িয়ে দিচ্ছে সারা দেশে। দক্ষিনাঞ্চলে সব থেকে ঝুঁকিতে এখন মাগুরার প্রতিবেশী জেলা যশোর। মাগুরাতে প্রতিদিন কোভিড১৯ এর উপসর্গ থাকলে সে সবের নমূনা নিচ্ছে মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই নমূনা পাঠিয়ৈ দেয়া হচ্ছে যশোরে। অথচ সেই যশোর এখন দক্ষিনাঞ্চলে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ন জেলা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। যে জন্য মাগুরা জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম এক ফেসবুক ঘোষনায় গত রাত(মঙ্গলবার) থেকে মাগুরা-যশোর সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশের জেলা ঝিনাইদহ শেষ পাওয়া তথ্য মতে কোভিড১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১১ জন। অথচ এক সপ্তাহ আগেও দেশের ৯ টি জেলা করোনা মুক্ত এলাকা ছিল। যার মধ্যে মাগুরা এবং ঝিনাইদহ জেলা অন্যতম। এখন ঝিনাইদহ জেলার সাথে ও মাগুরা জেলার সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন মাগুরা জেলা প্রশাসক।
মাগুরার পূর্বে নড়াইল জেলা ,সেখানে কোভিড ১৯ পজিটিভ হালনাগাদ তথ্যমতে ১৩ জন। অথ্যৎ এটি ঝিনাইদহ জেলার থেকেও খূবই ঝুকিপূর্ন সংক্রমণ এলাকা হিসাবে ধরা হয়েছে। তবে মাগুরা জেলার সাথে নড়াইল জেলার সকল যোগাযোগ বন্ধ করার কোন ঘোষনা মাগুরা জেলা প্রশাসন থেকে এখনও আসেনি।
মাগুরার জেলার পার্শ্ববর্তী অন্যতম ঝুকিপূর্ন জেলা ফরিদপুর। এখানে কোভিড ১৯ পজিটিভ ৯ জন। ফরিদপুর জেলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ নাকি খোলা তা এখনও জেলা প্রশাসন থেকে কোন ঘোষনা আসেনি। তবে ১১ দিন আগে রাজবাড়ির সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষনা দেন মাগুরা জেলার প্রশাসক।
এই পরিস্থিতিতে মাগুরাবাসী মনে করছেন মাগুরা এসব ঝুঁকিপূর্ন জেলাগুলোর মাঝে হওয়াতে খুবই আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে । যদিও মাগুরাতে গত ১৭ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৩ জন কোভিড১৯ এ আক্রান্ত বলে সরকারি ভাবে ঘোষনা করা হচ্ছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রতিদিন যে করোনা বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে এতেও মানুষের মাঝে হতাশা বাড়ছে। কারন প্রতিদিন খূব কম সংখ্যাক নমূনার ফলাফল ঘোষনা করায় জেলার প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না বলে শংকা তৈরী হচ্ছে মাগুরাবাসীর মনে ।
তবে এ পরিস্থিতিতে মাগুরার চারপাশে এসব ঝুঁকিপূর্ন জেলাগুলোর থেকে পুরোপুরি লকডাউন করা গেলে মাগুরা জেলায় হয়তো করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব বেশ কিছূটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাােগ মাধ্যমে মাগুরার বিশিষ্টজনেরা নানা সময়ে জানিয়ে আসছেন ।