নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের তদন্ত কমিটির খোঁড়াখুঁড়িতে ওয়াসার ৩৬টি পানির লাইন বিচ্ছিন্ন হলেও শনাক্ত করা যায়নি এগুলো কোন বাড়ির লাইন। ফলে ওয়াসার কর্মকর্তারা সেগুলো অবৈধ লাইন হিসেবে বন্ধ করে দিয়েছেন।
তবে পানির লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গত দুই দিন ধরে দুর্ভোগ পোহালেও এসব লাইন ব্যবহারকারীদের কেউই ভয়ে স্বীকার করেননি কোনটি কার লাইন। কারণ অবৈধ পানির লাইন ব্যবহারকারী মসজিদের বিস্ফোরণে ফেঁসে যাবেন কিনা সেই ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াসার শ্রমিকরা বলেন, গত সোমবার থেকে তিতাস গ্যাসের শ্রমিকরা তাদের গ্যাসের লাইন খুঁজতে গিয়ে আমাদের পানির লাইন ড্যামেজ করে ফেলেন। ওই লাইন মেরামত করতে এসে দেখা যায় ৩৬টি বাড়ির পানির লাইনে সমস্যা। কিন্তু এসব লাইনগুলো কাদের বাড়িতে গেছে কেউ জানাতে আসেনি। তাই এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ওয়াসার এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ওয়াসার দায়িত্ব এখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের হাতে। তাই বিষয়টি সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আজগর আলীকে জানানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আজগর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লাইনগুলোর বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এলাকার লোক বলছে লাইনগুলো বৈধ, আর অনেকে বলছে অবৈধ। যার কারণে চেক না করে বলা যাবে না বৈধ নাকি অবৈধ। বৈধ-অবৈধর বিষয়টি না তুলে কাটা লাইনগুলো সংযোগ করে দেয়া হয়েছে। আমরা সবগুলো লাইন চেক করব এবং অবৈধ লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেব।