ডেস্ক নিউজ: নওগাঁর আত্রাই থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে রাজনৈতিক পরিচয়ের বায়োডাটা জমা দিয়েছেন ।
বায়োডাটার সত্যতা অনুসন্ধানে অনেক প্রতারনামূলক প্রশ্নের জন্মদিয়েছে তুনমূলের বিএনপির কর্মীদের মাঝে ।
জানা যায় রেজু কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে তার রাজনৈতিক বায়োডাটায় যে তথ্য দিয়েছে তাতে তিনি বলেছেন, তিনি স্থানীয় কলেজের জি.এস ছিলেন ।
আপনারা যারা বিএনপি করেন তারা কি বিষয়টি জানেন?
জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে প্রশ্ন করা হয়, রেজু কবে ছাত্র রাজনীতি করেছে?
যদি না করে তাহলে তার এই পরিচয় দলের সঙ্গে প্রতারণা নয় কি?
আত্রাই আহসান উল্লাহ কলেজে প্রথম সংসদ নির্বাচন হয়েছে ১৯৯৬ সালে ।
রেজু ও তার পরিবারের কেউ তখনও বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত না।
তখনও রেজু হলুদ-মরিচ ভাঙ্গার স্থানীয় একটি মিলের ম্যানেজার ছিলেন ।
রেজুর প্রতারনা এখানেই শেষ নয় ।
সে উল্লেখ করেছেন, সে ১৯৭৯ সালে আত্রাই থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ।
যেখানে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন হিসাবে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯ আগষ্ট ১৯৮০ সালে, সেখানে ১৯৭৯ সালে সে কি করে স্বেচ্ছাসেবক দলের আত্রাই থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়?
আত্রাই থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রথম কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল হাকিম সরদার আর সাধারন সম্পাদক ছিলেন একরামুল বারী রঞ্জু ।
এরপর পরবর্তী এবং সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে আছেন আব্দুল মতিন ।
২০০৯ সালে বিশেষ বিবেচনায় আনোয়ার হোসেন বুলু হাত ধরে আত্রাই থানা বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহন করার সুযোগ পান রেজু এবং মরহুম ইসরাফিল আলমের ১২ বছরের শাসনামলে ইসরাফিলের “বি” টিম লিডার হিসাবে সর্বোচ্চ দূর্নীতির আংশদ্বারিত্ব গ্রহন করেন ।
রেজু এমন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আত্রাই থানা বিএনপির রক্তের সাথেই শুধু বেইমানি করছেন না ধোকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিএনপিকে বলে মনে করছেন তৃনমূলের কর্মীরা ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা যেন সঠিক তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ।