নিজস্ব প্রতিবেদক এস এম শিমুল রানা।
বাড়িতে সন্তান প্রসব করা এক মা মহম্মদপুর হাসপাতালে ৩ ঘন্টা থেকেও চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর অভিযোগ
আজ এপ্রিল ।মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের আড়মাঝি উত্তর পাড়া গ্রামের দিনমজুর নায়েব আলী মোল্যার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩০)রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়িতে গ্রাম্য ধাত্রীর মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
মৃত নারীর স্বামী নায়েব আলী মোল্যা এই প্রতিবেদককে শ শরীরে জানান (বক্তব্য সংরক্ষিত আছে) অনেক হাত পা ধরে কান্নাকাটির পর জরুরী বিভাগে থাকা কম বয়েসি এক যুবক(নাম জানেন না)ফোন দিলে প্রায় আড়াই ঘন্টা অপেক্ষার পর এক নারী চিকিৎসক আসেন।স্বামী নায়েব আলী চিকিৎসকের নাম বলতে পারেন নি।এসময় জাহানারার প্রসব পরবর্তি বিলম্বিত ফুল পড়া জনিত সমস্যায় প্রচুর রক্তক্ষরণ সমস্যায় ভুগছিলেন। নারী চিকিৎসক গুরুতর অসুস্থ নারীর কাছে না ভীড়ে দূর থেকে জরুরী বিভাগে থাকা ওই যুবকে রক্তচাপ (বিপি) মাপতে বলেন। মাপার পর চিকিৎসক কোনো সমস্যার কথা না শুনে এবং কোন ব্যবস্থাপত্র না দিয়ে দূর থেকে এমবুলেন্সে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসায় চলে যান।
কয়েক ঘন্টা এমবুলেন্স খোঁজাখুজিঁ করে না পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহানারা বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাম্পাসের খোলা জায়গায় মৃত্যুবরণ করেন বলে স্বামী নায়েব আলী মোল্যা জানান।
পরে ওইদিন ভোরেই লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিন দুপুরে হরেকৃষ্ণপুর নতুন গোরস্থানে প্রতিবেশিদের সহায়তায় লাশ দাফন করেন।
নায়েব আলী মোল্যা পেশায় টাইলস মিস্ত্রী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।তার স্ত্রীর মৃত্যু হলেও নবজাতক পুত্র সন্তান সুস্থ আছে।
নায়েব আলী মোল্যা ২০ বছর আগে পলাশবাড়িয়ার বেথুড়ি গ্রামে শুকুর মোল্যার মেয়ে জাহানারা কে বিয়ে করেন।
নায়েব আলী মোল্যা কাদতে কাদতে জানান, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি অচেতন ছিলেন। কাউকে কিছু বলতে পারেননি।