নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা সুবর্ণচর উপজেলা, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভাঙনে তলিয়ে গেছে। এতে পানি বন্দি হয়ে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম তিনটি উপজেলার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়াও নোয়াখালী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীও নদী ভাঙন এলাকার মানুষের খোঁজ নেন এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, গত পাঁচ দিনে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ও দক্ষিণ চরক্লার্কে ১০ কিলোমিটার এলাকা ভেঙে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ঘর ও সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চর এলাহী ও বামনী নদীর ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত চার দিনে মেঘনা নদীর অতিরিক্ত জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে হাতিয়ার নলচিরা, সুখচর, চরইশ্বর, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, নিঝুমদ্বীপসহ ১০টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে পানি ঢুকে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
ভরা বর্ষায় হঠাৎ জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে ভেসে গেছে বসতঘর, মাছের ঘের, ক্ষেতের ফসল। জেলা প্রশাসক থেকে চল্লিশ মেট্রিকটন খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, নদীর ভাঙন রোধে সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
আজকের নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনুল হাসান ইভান, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম, চর এলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, চানন্দী ইউপি প্রশাসক আব্দুর রহিম।