









কথা বললেই মুখে হাসি লেগে থাকে। সেই হাসি দর্শককে আনন্দ দেয়। টিভি পর্দায় তাকে দেখলেই বিনোদিত হন দর্শকরা। তিনি সবার প্রিয় অভিনেতা হাসান মাসুদ। দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয়ের আঙিনায় তার সফল পদচারণা।
এর মাঝে একটি গুজব বেশ সাড়া ফেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে দাবি করেছেন ধর্মান্তরিত হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ কিন্তু বিষয়টি শুধুই গুজব বলে জানিয়েছেন এ অভিনেতা।
মঙ্গলবার তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির ‘ক্যাম্পাস তারকা’ আড্ডা এসে এক প্রশ্নের জবাবে হাসান মাসুদ বলেন, ‘আসলে ব্যাপাটরা হলো আমাদের প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে (মহামারির আগে) একটা অনুষ্ঠান হতো ট্রাস্ট মিলনায়তনে।










এটার আয়োজন ছিলো একজন প্রযোজক। তো গেলেই উনি প্রত্যেকের মাথায় একটা তিলকের মতো পড়িয়ে দিতেন। সাদা রঙের। তো এই ছবিটা কিভাবে যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।’
ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর থেকে অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন দাবি করে হাসান মাসুদ বলেন, ‘ছবিটা ছড়িয়ে পড়ার পরই আসলে অনেকে আমাকে অনেকে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে আমার ছবিটি শেয়ার করে দাবি করেন আমি ধর্মান্তারিত হয়েছি।
আমার সাথে সে সময় সুবর্ণা আপাও ছিলেন, ফয়সাল ভাইও ছিলেন। সবারই মাথায় ওই তিলকটা ছিলো। এটা ছিলো অনুষ্ঠানের একটা রেওয়াজ। যে হোস্ট তিনি প্রত্যেক অতিথির ঢোকার সময় এটা পড়িয়ে দেন।










আমরা যেহেতু প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করছি সেহেতু এটা একটা সংস্কৃতি। এর মানে এই না যে, আমি হিন্দু হয়ে গেলাম বা আমি ধর্মান্তারিত হলাম।’
প্রসঙ্গত, হাসান মাসুদ একজন সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত। গায়ক হিসেবেও সমাদৃত তিনি। পেশায় ছিলেন সামরিক কর্মকর্তা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অভিনয়ের জাদু দেখিয়ে তিনি দর্শকের প্রিয় হাসান মাসুদ। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় আড়ালে চলে যান তিনি। সেও প্রায় চার বছর হতে চললো।










জানা গেছে, এ অভিনেতা শোবিজ ত্যাগ করেননি চিরতরে। তবে অভিমান নিয়ে সরে আছেন। তিনি অভিনয় প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেকটা সময় তো কাজ করেছি। আর কত! অভিনয় যে আর করবো না, তা কিন্তু না। অভিমান আছে কিছু। সে অনেক কথা! সবকিছু বলতে চাই না। যখন দেখলাম আগের মতো কাজ করে আরাম পাচ্ছি না তখনই সরে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। একই রুটিন। প্রায় একই রকম চরিত্র-সংলাপ। কাজগুলো খুব একটা উপভোগ করছিলাম না। যে কারণে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে। ভালো চিত্রনাট্য পেলে আবারও অভিনয়ে নিয়মিত হবো।’










ভালো কিছু কাজের প্রস্তাবও তিনি পেয়েছেন বলে জানান। করোনা পরিস্থিতির আগেই নতুন করে কাজে ফেরার কথা ছিল হাসান মাসুদের। কলকাতার একটি সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছিলেন। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য সব আটকে গেল।
বর্তমানে কী করছেন, কীভাবেই বা কাটে সময়? সেই প্রশ্নের জবাবে হাসান মাসুদ জানান, রাজধানীর নিকেতনে নিজ বাসায় পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। বেশ ভালোই সময় কাটছে তার। স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে তার সুখের সংসার। তবে উচ্চ শিক্ষা নিতে ছেলে মাস কয়েক আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে।










সেজন্য মাঝে মধ্যে ছেলের বিরহে মন খারাপ হয়। তবুও নিজেই নিজের মনকে বুঝিয়ে রাখেন। মন ভালো রাখতে বই পড়া ও লেখালেখিতে মগ্ন থাকেন।