বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের উদ্বোধন করা হবে। এই হল যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, গত ৮ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধন করবেন। তারপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরা এটা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন। এর আগে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মেহেদী হাসান নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল (ছাত্রী) এবং যেটা কি না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল), এ হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন চাই। এ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বশরীরে থাকতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সে উনার মাধ্যমে উদ্বোধনের দাবী জানাই।’
জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আগামী ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল উদ্বোধন করা হবে। তবে আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল হিসেবে এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে দিয়ে উদ্বোধন করানো উচিত ছিল। কেননা এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হয়েছে। আমার মনে হয় এখনো সুযোগ থাকলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে দিয়ে উদ্বোধন করানো উচিত। যেহেতু এটি বঙ্গমাতার নামে নামকরণ করা হয়েছে। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে না পারেন তাহলে তার সদয় অনুমতি সাপেক্ষে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়ে অন্তত উদ্বোধন করানো উচিত বলে আমি মনে করি। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় নানাভাবে উপকৃত হবে। কেননা এটিতো আর কোনো ক্লাশ রুম নয়। সবই সম্ভব, প্রথমে সমাবর্তন করাও সম্ভব ছিলো না কিন্তু পরে সম্ভব হয়েছে। সবই আন্তরিকতার বিষয়। সেই সাথে যে সকল ছাত্রনেতারা ছাত্রী হলের জায়গা পাইয়ে দিতে কাজ করেছিল তাদেরও উদ্বোধনের দিন একটু মনে করা উচিত।’
হল উদ্বোধনে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন কি না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে যা লেখা আছে নতুন করে কিছু বলার নেই। বিশ্ববিদ্যালয় যেটা করতে চাচ্ছে সেটা বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া আছে। এর বাইরে কোনো বক্তব্য নেই।’