মমিনুল হক রুবেল: স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে চাকুরী দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, মুক্তারামপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি চাকরি দেওয়ার নামে বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের মেন্দু মিয়ার ছেলে মোঃ সজিব মিয়ার কাছ থেকে মুক্তারামপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকুরী দেওয়ার নামে নগদ ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এছাড়াও সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের চরবাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি চাকরি দেওয়ার নামে বাড্ডা গ্রামের ইমাম আলী ছেলে আল আমিনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সজিব ও আল আমিন মিয়ার কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন অামাদের কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে চাকুরী দিবে বলে অামাদের দুজনের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন কিন্তুু চাকুরী এবং টাকা কোনটাই তিনি দিচ্ছেননা টাকা চাইতে গেলে নানা তাল বাহানা করেন তিনি।
গত ১৭ আগস্ট নবীনগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি চাকরি দেওয়ার নামে মুক্তারামপুর গ্রামের মেন্দু মিয়ার ছেলে মোঃ সজিব মিয়ার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠলে সাংবাদিক অাক্তারুজ্জান ফেসবুকে একটি স্টেটাস দেই।
সাংবাদিক অাক্তারুজ্জামান বলেন অামি এ বিষয় টি ফেসবুকে স্টেটাস দিলে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর অালম অামাকে ফোন দিয়ে অক্ষত্য ভাষায় গালমন্দ করেন। পাশাপাশি উনার মেয়ে আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দেওয়ার ও উনার ছেলে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন অাওয়ামীলীগ জাহাঙ্গীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অামার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা কিন্তুু উনাকে সাংবাদিককে গালিগালাজ ও হুমকির রেকর্ড শুনালে তিনি মোবাইলটি বন্ধ করে দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন আমার নিকট এই ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।