নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস, প্রাণঘাতী এক মহামারীর নাম। ইতিমধ্যেই এ ভাইরাসে বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় অর্ধকোটি। চীনের ওহান থেকে এ ভাইরাসের প্রথম উৎপত্তি। তারপর একে একে সারা বিশ্বকে রীতিমতো হিমশিম খাইয়ে দিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস।বাংলাদেশ ও পিছিয়ে নেই এ ভাইরাস থেক। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে।
এরপর থেকে একে একে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং এর পরেই গাজীপুরকে করুনার হট স্পট হিসেবে ধরা হয়।
গাজীপুরে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনশত ৭০ জনের মতো। ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২০২ জন মানুষ। আক্রান্তের তালিকায় ছিলেন পুলিশ সাংবাদিক ডাক্তার-নার্স সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। তবে সুখবর হচ্ছে এদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন। তারপরও প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার ভয়াবহতা রোধ কল্পে স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে এসেছেন। সরকারি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান করুনা মোকাবেলায় রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও আগামী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী জনাব শাহীন খানের উদ্যোগে গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারের বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে মানুষকে সচেতন করেন। মানুষ যাতে করে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হয় সেজন্যই তিনি এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
শাহিন খান বলেন, আমরা যদি সচেতন হই তাহলে করুণা মোকাবেলা করা আমাদের জন্য কঠিন হবে না।তিনি বলেন, আগামী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে আমি আপনাদের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী।আপনাদের দোয় নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই।
এর জন্য আমি আবারও আপনাদের সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রার্থনা করি। আপনাদের দোয়ায় আল্লাহ চাহে তো কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারলে আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করব। সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ডকে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে উপহার দেওয়ার জন্য আমি কাজ করবো।
আশা করি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সমর্থন দিয়ে যাতে কাউন্সিলর হয়ে আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সেবা করতে পারি এই সুযোগ করে দিবেন। শাহিন খান বলেন, এখন আমরা একটি যুদ্ধ অবস্থায় আছি। করোনা আমাদের জন্য একটি যুদ্ধ। আমরা সকলে সচেতন হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ইনশাল্লাহ আমরা অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়লাভ করবো। এই অন্ধকার আমাদের জীবন থেকে কেটে যাবে।
অন্ধকার কেটে গিয়ে সামনে একটি নতুন সূর্য উঠবে। একটি সুন্দর দিনের সূচনা হবে। সেখানে করোনা নামক ভয়াবহ অদৃশ্য দানব থাকবে না। সেই দিনটি আমাদের জন্য মঙ্গলময় হবে। আমরা সেই দিনটির প্রত্যাশায় রইলাম। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কর্মের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে আমি আওয়ালীগের একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।আমি সবসময় সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে থাকি। আমি যদি কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারি আমার সেই কাজকে আরও বেগবান করবো ইনশাআল্লাহ।
আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আর আসুন আমরা সবাই ঘরে থাকি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। তাহলেই আমরা করোনা থেকে মুক্তি পাবো ইনশাল্লাহ।