গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়েছে ২০১৩ সালে। মোট ৫৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আলহাজ্ব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যেই সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন।
এতে অনেকেই আহবায়ক কমিটিতে পদ পেয়ে খুশি। কিন্তু অধিকাংশ ত্যাগী, সৎ ও নিষ্ঠাবান যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে নিঃস্বার্থ ভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের অনেকেই নতুন কমিটিতে পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মহানগরীর টঙ্গী, বোর্ডবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকায় মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আগামীদিনের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দীপ, যুবলীগ নেতা আমিন উদ্দিন সরকার, রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডল, মোঃ ইসমাইল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা বাসির খান, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব খান, কৃষকলীগ নেতা লিটন মোল্লা, মনিরুজ্জামান লিটন,জুম্মন খান সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ মিছিলটি বোর্ড বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ সড়কের বিভিন্ন এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। অবশেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, বিগত দিনে যারা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করেছেন, যারা দলকে ভালোবেসে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন, সেই নেতা কর্মীদের কে বাদ দিয়ে, যারা দলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ঢুকেছে, বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা হিসেবে যারা দলে ঢুকে ঢুকেছে, সেই বিশ্বাসঘাতক, হাইব্রিড দেরকে নিয়ে গোপনে পকেট কমিটি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান থেকে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা হয় এবং অবিলম্বে এই অবৈধ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে পুনরায় কমিটি করার জন্য জোর দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, প্রকৃত আওয়ামী লীগ যারা আছে তাদেরকে নিয়ে কমিটি করার জন্য দাবি জানানো হয়।
অন্যথায় দাবি মানা না হলে এর জন্য যারা দায়ী তাদের কে আগামী দিনে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলটি সব সময় অসহায় সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলে। অতএব এই দলে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান নেই, থাকতে পারে না। যারা হাইব্রিডদেরকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দলে ঢুকিয়ে, গোপনে ষড়যন্ত্র করে দলের ক্ষতি করতে চায়, তাদের জন্য অবশ্যই কঠিন সময় অপেক্ষা করতেছে। এরা দলের ভালো চায়না।
এরাই মীরজাফর। নেতৃবৃন্দ বলেন, যেকোনো মূল্যে এদেরকে প্রতিহত করা হবে।এরা বিএনপি-জামাতের পেতাত্মা। যারা হঠাৎ করেই দলে ঢুকে কিছু স্বার্থপরদের সাথে মিলে দলের ক্ষতি করে। নিজেদের আখের গোছাতে চায়। তাদেরকে চিহ্নিত করে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে এবং দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে এবং কেন্দ্র থেকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে বক্তারা আবারও এই পকেট কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে অবিলম্বে পুনরায় নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়ার জোর দাবি করেন।