বাসর রাতে স্বামীর পা ছুঁয়ে সালাম করতে না করতেই ঐমির গালে সজোরে একটা থাপ্পড় পড়ল।
পুঁচকি মেয়েটা ছলছল চোখে তাকিয়ে কান্না জড়ানো কন্ঠে বলল।”কি হলো আপনি আমাকে মারলেন কেনো”?
– ঐমি কে দেখে আমার মনে একটু মায়া জন্ম নিলেও আমি চোখ মুখ শক্ত করে বললাম।”সেদিন যে ভরা মজলিসে আমাকে লেং মেরে ফেলে দিয়েছিলে । এটা তার শাস্তি স্বরুপ দিলাম।”
–ঐমি ফুঁপাতে ফুঁপাতে বলল “সেদিন আমি কি আপনাকে ইচ্ছে করে লেং মেরে ফেলেছিল নাকি”।ঐ যে আমার বান্ধবীরায় তো আমার সঙ্গে বাজি ধরেছিল। আপনাকে লেং মেরে ফেলে দিতে পারলেই ১০০ টাকা দিবে। আমি আর লোভ সামলাতে পারিনি তাই আপনাকে লেং মেরে ফেলে দিয়েছিলাম।ঐমি ছোট বাচ্চাদের মত করে বলল জানেন ঐ হারামী গুলো এখনো আমার টাকা দেয়নি।
– আমি অবাক চোখে ঐমির দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ।কি সাংঘাতিক মেয়ে বাবা সামান্য একশত টাকার জন্য মাঝ রাস্তায় লেং মেরে আমাকে ফেলে দিল!😱😱
– পৃথিবীতে কি ছেলের অভাব পড়েছিল যে লেং মারার জন্য তোমার আমাকেই পছন্দ হয়েছিল?
– ঐমি তাচ্ছিল্য মার্কা হাসি দিয়ে বলল পৃথিবীতে অভাব পড়েছিল কি না জানি না কিন্তু আমাদের নাগেশ্বরীতে আপনার মতো মেন্টাল ছেলের খুব অভাব
–আমি চোখ পাকিয়ে বললাম তোমার এতো বড় সাহস তুমি আমাকে মেন্টাল বললে?😠😠
– মেন্টাল নয় তো কী বলবো ? ভর দুপুরে আপনি চোখে সানগ্লাস,কানে হেডফোন লাগিয়ে হাঁফ পেন্ট পরে রাস্তায় মেয়েদের সামনে পাছা দোলাতে দোলাতে যেভাবে হাঁটছিলেন। সেটা এক মাত্র মেন্টাল এর পক্ষে সম্ভব।
– ইসকিউসমি ওটা হাফ পেন্ট না। ওটাকে থ্রি কোয়ার্টার বলে। আর আমি মোটেও দুলিয়ে দুলিয়ে হাটিনি সেদিন । চোখের ডাক্তার দেখাও গিয়ে তোমার চোখে মনে হয় সমস্যা আছে।
– ঐমি আমার অতি নিকটে এসে বলল ঐ চেংরা, চেংরি দের মতো এতো ফাল পারেন কিসের জন্য। বেশি কথা না বলে টাকা দেন।
– আমি হা করে ওর মুখের পানে চেয়ে রইলাম।
— ঐমি আমাকে হা করে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল। হা করে কি দেখেন হু। দেন এখন আমার টাকা দেন।
– আমি অবাক হয়ে বললাম কিসের টাকা?ভরা মজলিসে মাঝ রাস্তায় তুমি লেং মেরে ফেলে দিলে আমাকে। মাত্র ১০০ টাকার জন্য আর তোমরা বেয়াদব বান্ধবী গুলো তোমাকে সেই টাকা এখনো দেয়নি। এখন সেই টাকাও আমাকে দিতে হবে?
– আরে বুদ্ধু আমি কি ঐ টাকার কথা বলছি নাকি (ঐমি)
-তাহলে কিসের টাকা?
— আরে বাসর রাতে স্বামী বউকে উপহার দেয় না? আমি সেটার কথাই বলছি। আপনি তো আর আমার জন্য কোনো গিফট নিয়ে আসেন নাই তাই এখন আমাকে টাকা দেন।আর আপনি যদি চান তাহলে বাজির ১০০ টাকাও দিতে পারেন আমি মাইন্ড করবো না বলেই মুচকি হাসলো।
– ইম্পসিবল আমি এক টাকাও তোমাকে দিতে পারবো না।
– ঐমি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আমার আরো একটু কাছে এসে চোখে চোখ রেখে বলল “কি বললেন আবার একটু বলুন তো”
– আমি চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বললাম আমি এক টাকাও তোমাকে দিতে পারবো না।
– বেয়াদব মেয়েটা সঙ্গে সঙ্গে আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে মুখের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলল তুই দিবি না তোর বাপ দিবে বলেই মেরে দিল সজোরে একটা লাথি।
ওমা গো বলে আমি ফ্লোরে বসে পড়লাম।
এই ফাঁকে পরিচয়টা দিয়ে নি
আমি সামিল ইয়াসার অংকুর আর এতো ক্ষন যায় সঙ্গে কথা বলছিলাম সে আমার সদ্য বিয়ে করা বউ। বিয়েটা যদিও জোর করে দেওয়া হয়েছে তবুও বউ তো বউ।
আপনাদের হয়তো জানতে ইচ্ছে করছে কিভাবে কি হলো। তাহলে শুনুন আমাদের কাহিনী।
– আমি কিছু দিন আগে বেশ বড়সড় একটা ছেকা খাইছি।যার ফলে সারাদিন মন খারাপ করে বসে থাকতাম। কোনো কিছুই ভালো লাগতো না ।এক সময় মনে হতে লাগল আমি ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছি।তাই মন ভালো করার জন্য কুড়িগ্রামে আমার কাকার কাছে চলে এলাম। যদি মনটা একটু ভালো হয়।কাকা এখানে একাই থাকেন । তিনি সারাদিন অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন আর আমি সারাদিন বসে বসে ডিম পারি। ইচ্ছে হলে সকল বিকাল একটু আসে পাশে ঘোরাঘুরি করি।
– সেদিন কি হয়েছে বুয়া এলেন না।যার ফলে দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য আমাকে বাইরে যেতে হলো। আমার পরনে ছিল থ্রি কোয়ার্টার পেন্ট।আর একটা ব্লাক কালারের টিশার্ট । আমি আর চেন্জ না করেই কানে ইয়ারফোন গুঁজিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। একটা হোটেলে গিয়ে খেলাম। খাবারের কথা আর না বলি কুড়িগ্রামের মানুষ গুলো আবার রাগ করতে পারে। কিন্তু আমার কাছে আমার বগুড়ার খাবারি বেস্ট।
– তো অঘটন ঘটলো ফেরার পথে। আমি হেঁটে হেঁটে ফিরছিলাম।বেশ কিছু ক্ষণ ধরে আমার পেছন থেকে মেয়েদের হাসা হাসির আওয়াজ কানে আসছিল। কিন্তু আমি সেদিকে নজর না দিয়ে ভদ্র ছেলের মতো মাথা নিচু করেই হাঁটছিলাম। হটাৎ করেই একটা বেয়াদপ মেয়ে আমার পাশে থেকে লেং মারলো।আর আমি গিয়ে পড়লাম গতকাল রাতে বৃষ্টিতে জমা পানির মধ্যে।
– আমার অবস্থা দেখে মেয়ে গুলো হাসিতে ফেটে পড়লো। আমি কাঁদা থেকে উঠে পা থেকে লোফার খুলে ওদের দিকে এগিয়ে যেতেই। বেয়াদব চেংরি (মেয়ে) গুলো দৌড়ে পালালো। ইচ্ছে তো করছিল সব কটার গাল থাপ্পর দিয়ে লাল করে দিতে। আমি একটু পেছন পেছন গেলাম ওদের ।যে মেয়েটা আমাকে লেং মেরেছিল সে আমাকে কাঁচকলা দেখিয়ে কুড়িগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কি যানি বলল আমি সে কথার আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না।
– আমি ইচ্ছে করলেই ওদেরকে ধরতে পারতাম কিন্তু এটা তো আর আমার এলাকা না আর এসব ক্ষেত্রে মেয়েদের কোনো দোষ থাকে না।সব দোষ হয় ছেলেদের। পড়ে কি থেকে কি কেসে ফেঁসে দিবে তখন হবে আরেক বিপদ। তাই আর ওদের পেছনে গেলাম না।
– কিন্তু কথায় আছে না অভাগা যেদিকে যায় সন্ধ্যা সেদিকে হয়। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই ঘটলো। ফিরে এসে দেখি আমার একটা লোফার কুত্তা মুখে নিয়ে বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে চলেছে।হায় হায় আমার ২২০০ টাকা দামের লোফার কুত্তার মুখে।আমি এখন কি পায়ে দিবো? আমার ২২০০ টাকা দামের লোফার না মানে ২১৯৯ টাকা।
তখন আমার ঐ মেয়ে গুলোর উপর সেই রকম রাগ উঠেছিল। ইচ্ছে তো করছিল খুন করে ফেলি।পরের দিন আমি সকল থেকে বিকাল অব্দি ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু ঐ বেয়াদব মেয়ে গুলোর দেখা পেলাম না।আজ দেখা পেলে উচিত শিক্ষা দিতাম
– দুদিন পর আমি টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট নিয়ে বাসায় আসছিলাম।আজ আমি বগুড়ায় যাবো ৪টায় বাস। হঠাৎ খেয়াল করলাম সেদিনের সেই মেয়ে গুলো আমার সামনে সামনে হাঁটছে। আমার প্রাণ যেন খুশিতে ভরে উঠল। এবার হবে আসল খেলা। আমাকে লেং মারার উচিত শিক্ষা দিব এবার
– ওরা গ্রামের রাস্তা ধরল আমিও ওদের পিছু নিলাম। রাস্তা টা বেশ ফাঁকা আমি একবার ভালো করে সামনে পেছনে দেখে নিয়ে। তাদের সামনে গিয়ে টাইটানিক এর মতো দু হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে ।দু পাটি দাঁত বের করে একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বললাম কি মিস চিনতে পেরেছেন তো?
– আমাকে দেখে ওদের চোখ ছানাবড়া।
– আমি ঐমির দিকে এগিয়ে ওকে ভয় দেখানোর জন্য ওর হাত ধরে বললাম তুমি সেদিন আমাকে কাঁদায় ফেলেছিলে আজ আমি তোমাকে ড্রেনে ফেলবো। ভেবেছিলাম ভয় পেয়ে সরি টরি বলবে কিন্তু বেয়াদব মেয়েটা আমার হাতে জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিল।ব্যাথায় আমি ওর হাত ছেড়ে দিতেই ও দৌড়াতে শুরু করলো। আমিও হাল ছাড়ার পাত্র না আমিও পেছন পেছন দৌড় দিলাম। এবার ওকে মজা বুঝিয়ে ছাড়বো। আমার সাথে দৌড়ে পার পাবে না আমি কখনোই দৌড় প্রতিযোগিতা সেকেন্ড ছাড়া ফাস্ট হতে পাড়িনি।
একটা বাড়ির সামনে গিয়ে ওকে আবার ধরলাম।ঐমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল খবরদার আমার সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করার চেষ্টা করবেন না তাহলে কিন্তু ভালো হবে না বলে দিচ্ছি। মেয়ে সব দিক দিয়ে ফেঁসে গেছে তবুও তার তেজ কমেনি।
– আমি ঐমির কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম । বেয়াদব মেয়ে তুমি আমার হাতে কামড় দিয়েছ না আমি তোমার গালে কামড় দিব।যে পরবর্তীতে কোনো ছেলের সাথে বেয়াদবি করার পূর্বে আমার দেওয়া শাস্তির কথা তোমার মনে পড়ে।
– খবরদার আমাকে ছোঁবেন না তাহলে কিন্তু আপনাকে পস্তাতে হবে বলে দিলাম ।
– আমি ওর গালের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে জোরে একটা কামড় বসাবো ঠিক সেই মুহূর্তে। কিছু সিনিয়র পাসন এসে আমাকে ঘিরে ধরলো। এরপর উত্তম মাধ্যম দিতে শুরু করলো।
– রাস্তা ঘাটে মেয়ে সাথে অসভ্যতামি করা চল কমিশনারের কাছে চল বলে আমার কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। আমি কতো বললাম আমি কিছুই করিনি আপনারা ভুল বুঝতেছেন। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনলো না।কি এক বিপদ।
– কমিশনারের বাসায় আমাকে নিয়ে বিচার বসলো। কমিশনার পারলে আমাকে গিলে খাই। মুরব্বিদের কেউ কেউ বলছেন এই শালাকে পুলিশে দেন। এজীবনে আমার একটা খারাপ রিপোর্ট নাই। এখন যদি আমাকে পুলিশে দেয় তাহলে আমি বাসায় মুখ দেখাবো কিভাবে।হয় আল্লাহ এ কোন বিপদে পড়লাম আমি। আমি মনে মনে বললাম আল্লাহ তুমি আমাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করো আমি ৫০ টাকা ফকিরকে দিবো। সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হলো কে যেন আমার কানে ফিসফিস করে বলছে অংকুর তুই এতো কিপটা কেনো? আমি আবার বললাম আচ্ছা ৫০০ দিবো না এটাও অনেক কম তাহলে এ মাসের বেতনের অর্ধেক দিবো। না এটা আবার বেশি হয়ে যাচ্ছে। অর্ধেক এর অর্ধেক দিবো আল্লাহ এর থেকে বেশী আমি দিতে পারবো না। তুমি প্লিজ আমাকে এবারের মতো বাঁচিয়ে দাও।
গ্রাম বাসির কথা শুনে তিনি ঐমি কে ডাকলেন কমিশনার।ঐমিকে তার পাশে বসিয়ে নরম সুরে জিগ্গেস করলে মা সত্যিই কি এই চেংরা তোমার সাথে কিছু করেছে? সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডিয়া যেমন সুইচ গেট খুলে বাংলাদেশ কে পানিতে ভাসিয়ে দেয় ঐমিও ঠিক তেমনি তার চোখের পানি দিয়ে পদ্মা মেঘনা ভাসিয়ে দিচ্ছিল। একটু পর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল বাবা এই চেংরা অনেক দিন ধরে আমার পিছু নিয়েছে। অনেক দিন ধরেই আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে। আমি ওর কু প্রস্তাব এ রাজি না হওয়ায় আজ আমার সাথে বলে আবার কান্না করতে শুরু করলো।
– আমি তো যেন আকাশ থেকে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত কমিশনারের মেয়ে।তাও আবার এক নাম্বারের মিথ্যাবাদী। কতো বড় অভিনেত্রী আমি নাকি ওর পেছন পেছন ঘুরি ও আল্লাহ তুমি আমাকে বাঁচাও । আমি আমার এই মাসের অর্ধেক বেতন ফকিরকে দান করবো। আল্লাহ তুমি আমারে বাঁচাও
– আঙ্কেল আপনি বিশ্বাস করেন আপনার মেয়ে মিথ্যা কথা বলতেছে। প্রেমের প্রস্তাব তো দুরের কথা আমি কখনোই ওর পেছন পেছন ঘুরি নাই। তিন দিন আগে সে আমাকে মাঝ রাস্তায় ভরা মজলিসে লেং মেরে কাঁদায় ফেলে দিয়েছিল। আঙ্কেল জানেন আপনার মেয়ের জন্য আমার ২২০০ টাকার জুতা না মানে এক টাকা ছাড় দিয়েছিল ২১৯৯ টাকার জুতা কুকুর নিয়ে পালিয়েছে। আমি শুধু সে যেন পরবর্তীতে আর কোন ছেলের সাথে বেয়াদবি না করে এই জন্য তাকে একটু ভয় দেখানোর জন্য ওর হাত ধরেছিলাম। তাছাড়া আমি আর কিছু করিনি আঙ্কেল আমার কোনো খারাপ মতলব ছিল না। আমি মেয়েদের সব সময় সন্মান করি।
– ঐমি ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল বাবা এই শয়তান চেংরা মিথ্যা কথা বলছে। ঔ কুত্তা আমার গায়ে হাত দিয়েছে বলে আবার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
– কমিশনার সাহেব আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলেন না। সজোরে এক থাপ্পর আমার গালে বসিয়ে দিলেন।
-আমার গালে থাপ্পড় পড়ার পর আমি করুন চোখে ঐমির দিকে তাকাতেই দেখলাম। বেয়াদব মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি কাটছে ।
– আমি গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলাম।কি সাংঘাতিক মেয়ে একেরপর এক মিথ্যা কথা বলেই যাচ্ছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে বেয়াদব মেয়েটা স্টার জলসার সিরিয়ালের নিয়মিত দর্শক।তা না হলে এমন নিখুঁত অভিনয় করতে পারতো না।
আল্লাহ তুমি আমারে এই মহা বিপদ থেকে রক্ষা কর আমি আমার এমাসের পুরো বেতন ফকিরকে দিয়ে দিবো শুধু আমার থাকা খাওয়ার খরচ বাদে । প্লিজ আমাকে রক্ষা করো।
বিশেষ দ্রষ্টব্য ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন