গভীর রাতে গাড়ির ভেতর থেকে বাঁচা’ও বাঁ’চাও চিৎ’কার শুনে রুখতে চেষ্টা করেন এক দম্পতি। তবে, ওই তরু’ণী’কে উদ্ধা’র করতে পারলেও উদ্ধা’রকারী নারীর পা’য়ের ওপর দিয়ে গা’ড়ি চালি’য়ে পালিয়ে’ যায় দুষ্কৃ’তিকারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কলকাতা শহরে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দপুরে মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। কালিকাপুরের বাসিন্দা নীলাঞ্জনার সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী দীপ শতপথী এবং তাদের একমাত্র মেয়ে।
নীলাঞ্জনা’র স্বামী ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘রাত প্রায় ১২টা নাগাদ আমরা আমার শাশুড়ির বাড়ি থেকে নিজের গাড়িতে বাড়ির দিকে রওনা দিই। আমাদের পিছনে আসছিল একটি হোন্ডা সিটি গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে একটি মেয়ে বার বার বাঁ’চাও বাঁ’চাও বলে চিৎকার কর’ছিল।’
মেয়েটির চিৎ’কার শুনে নীলাঞ্জনা তার স্বামীকে গাড়িটি আটকাতে বলেন। দীপ বলেন,‘আমি নিজের গাড়ি দিয়ে পিছনের হোণ্ডা সিটিটাকে আটকাই। তার পরে আমার স্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন।’
নীলাঞ্জনা গাড়ি থেকে নেমে পিছনের গাড়ির দিকে এগতেই, ওই গাড়ির দরজা খুলে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় ওই তরুণীকে। তার জামাকা’পড় বিভিন্ন জায়’গায় ছেঁ’ড়া ছিল, মু’খ চো’খ ফো’লা, যেন মা’রধ’র করা হয়েছে। মুখে হাতে’ পায়ে নখে’র চিহ্ন ছিল।
ওই তরুণীকে রা’স্তার ধার থেকে যখন তোলা হচ্ছিল, ঠিক সে সময় ওই হোন্ডা সিটি গাড়ির চালক প্রবল স্পিডে গাড়িটা ব্যা’ক গিয়ারে দিয়ে পালায়।
দীপে’র অভিযোগ,‘ওই হোন্ডা সিটির চালক প্রচণ্ড গতিতে আমার স্ত্রী’র পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যান। একটুর জন্য আমার স্ত্রী-র মাথা ওই গাড়ি’র চাকার ত’লায় পি’ষে যায়নি।’
ঘট’নাস্থলে লুটি’য়ে পড়েন নীলাঞ্জনা। এরপর নীলাঞ্জনাকে বাইপা’সের ধারে একটি হাসপা’তালে ভ’র্তি করা হয়। নীলাঞ্জ’নার স্বামী জানিয়েছেন, ‘নীলাঞ্জ’নার মা’থায় আ’ঘাত লে’গেছে। ছ’টা সে’লাই করতে হয়েছে। অন্যদিকে ডান পা হাঁটুর তলা থেকে পু’রো ভে’ঙে গিয়েছে। সিনবোন টুক’রো টুক’রো হয়ে গিয়েছে। নীলাঞ্জ’নার কো’ভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। কো’ভিড রিপো’র্ট পাওয়ার পর এই অ’স্ত্রো’পচার করা হবে।’