কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নরসিংপুর গ্রামের নূরুজ্জামানের ভেজাল গুড় কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পঁচা গুড় জব্দ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
২ মে শনিবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ ইসমত আরা।
অভিযানকালে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের লোহাদী নরসিংহপুর এলাকায় নুরুজ্জামাননের বাড়ি থেকে গুড় তৈরী জন্য ১৭ বস্তা চিনি ও কেমিক্যাল উদ্ধার করেন।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমরাইদ বাজারের উত্তর পাশের কোঠামনি বাজার রোড দিয়ে অল্প একটু এগোলেই নূরুজ্জামানের বাড়ি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল গুড়ের ব্যবসা করছেন। অধিক লাভের আশায় আখের রসের সাথে চিনি ও ক্ষতিকর কাপড়ের রং মিশিয়ে চলছে উৎপাদন। লাখ লাখ টাকার ভেজাল গুড় বিক্রি হচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন হাট বাজারে। এক ডিঙ্গিতে জ্বাল করা হয় ১৪ টিন আখের রস। তাতে মেশানো হয় আধা বস্তা অর্থাৎ ২৫ কেজি চিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসাঃ ইসমত বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি লোহাদী এলাকায় একটি বাড়িতে ভেজাল গুড় তৈরী করা হচ্ছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুড় কারখানার মালিক নুরুজ্জামানকে ভোক্তা অধিকার আইনের ২০০৯ সালের ধারা অনুযায়ী তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পঁচা গুড় জব্দ করে থানায় আনা হয়।
তিনি আরও বলেন ,এ চিনি ও রং মিশ্রিত গুড় খেলে পাকস্থলীতে প্রদাহ বেড়ে যাবে। পরে ঘা হয়ে আলসার ও ক্যানসারে রূপ নিতে পারে