দেশের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার চিকিৎসার বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে মনিটর করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি টেলিফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। এ সময় তিনি দুশ্চিন্তা না করে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন।
বর্তমান শারীরিক অবস্থা কেমন-জানতে চাইলে এই প্রতিবেদকের কাছে সেলফোনে ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। জ্বরটা কিছুটা কমেছে। তবে গলার খুশখুশি ভাব ও কাশি কিছুটা আছে। তিনি জানান, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ভালো (৯৯)। শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো জটিলতা নেই তবে লাং ইনভলভমেন্ট ২৫ ভাগের মতো।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ আগে ফোন করে আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। চিকিৎসার বিষয়টি তিনি নিয়মিত মনিটরিং করছেন। দেশের আপামর মানুষ আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন-এটা আসলে অনেক বড়ো পাওয়া। সবার দোয়ায় আমি সুস্থ হয়ে যাবো ইনশা আল্লাহ।
জানা গেছে, ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর সহধর্মিনী অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমও জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার জানা গেল, জ্বর কমেছে এবং তিনি বাসাতেই আইসোলেশনে আছেন।
ডা. এবিএম আবদুল্লাহর মেয়ে ডা. সাদিয়া সাবাহ, জামাতা ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ রাজন তাদের পিতামাতার পুরোপুরি সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষে দেশবাসীর অব্যহত দোয়া কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন থেকেই সর্দি-কাশি ও হালকা জ্বরে ভুগছিলেন অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ। সতর্কতা হিসেবে নিয়ম মেনে বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার কভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ হবার পর সেদিন বিকেলেই তাঁকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।