করোনায় যখন লন্ডভন্ড পুরো পৃথিবী তখন মানুষকে সচেতন হতে দেখা যায় না সেভাবে।
সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যেখানে বারবার বলা হচ্ছে মানুষকে ঘরে থাকার জন্য। কিন্তু সেই নির্দেশনা সমূহ মেনে চলছে না অনেকেই।

অধিকাংশ লোক মিথ্যা অজুহাতে বিনা কারণে ঘরের বাহিরে বেরিয়ে এসেছে।
জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন ঘরে থাকে। কিন্তু তারপরও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মানুষ কানে নিচ্ছে না করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার বিষয়টি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষকে যদি ঘরে রাখা না যায় তাহলে সামনের দিনগুলোতে আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশকে।
পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এত উন্নত থাকতেও তারা কিন্তু করোনার কাছে ইতিমধ্যেই হার মেনেছে। স্বাস্থ্যবিধির সকল নিয়মকানুন মেনে চলার পর ও সেসব দেশে কিন্তু প্রতিদিন সংক্রমণ বেড়েই চলছে এবং মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন লাশের।
বিভীষিকাময় এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দেশগুলোতে।
করুনার প্রভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ ঘর বন্দী। যারা ঘর থেকে বের না হলে তাদের পরিবারের লোকজন না খেয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে।
অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ গুলো তারা একদিন ঘর থেকে বের না হলে তাদের খাদ্য জোটে না। এরকম মানুষ গুলো পড়েছেন সবচেয়ে বেশি সমস্যায়। প্রতিদিনই জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে সকলে সঠিক ভাবে সেই অনুদান পাচ্ছেন না। অসহায় ঐ সকল মানুষগুলোর কথা চিন্তা করি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল প্রতিটি পরিবারের জন্য একের পর এক ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশনে একটি লোকও যেন না খেয়ে থাকে সেটার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি সহ আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা অসহায় গরীব দুস্থদের তালিকা করে তাদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে যাচ্ছ। তিনি বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশন একটি শিল্প অধ্যুষিত এলাকা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার লোক এখানে বাস করেন। ঘনবসতিপূর্ণ আমাদের এই সিটি কর্পোরেশন।
আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এই লোক গুলোকে কিভাবে ভালো রাখা যায়। যারা অভাবী, দরিদ্র মানুষ তাদেরকে প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ বিভিন্ন খাবার তাদের মাঝে আমরা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
আমাদের নেতাকর্মীরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মানুষকে বলেছি আমরা বাহিরে আছি আপনারা ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। আল্লাহ চাহে তো মানুষের সেবায় আমরা নিজেদেরকে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে আত্মনিয়োগ করেছি। মামুন মন্ডল বলেন, আমাদেরও পরিবার আছে, সন্তান আছে। নিশ্চিত জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও আমদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে শুধু মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এবং নির্দেশ মেনে আমরা দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যদি মরে যাই তাহলে অন্তত এই তৃপ্তি নিয়ে মরতে পারবো যে মানুষের জন্য অন্তত কাজ করে যেতে পেরেছি। আর বেঁচে থাকলে মানুষের দোয়া পাবো। আল্লাহ পাক আমাদের সততার পুরস্কার অবশ্যই দেবেন।
তিনি বলেন আসলে আমরা মানুষকে দেখানোর জন্য কাজ করছি না। শুধুমাত্র দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এবং মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের জন্যই পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। হয়তো এর মাঝেও আমাদের ভুল ভ্রান্তি হতে পারে, সেজন্য সর্বপ্রথম মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা আমাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
তিনি বলেন কোনো অভাবী মানুষ যদি ত্রাণ না পায়, কষ্টে থাকে তাদের ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য দেবেন। অথবা যারা অভাবে আছেন তারা আমাদের কাছে আসলে ইনশাল্লাহ আমাদের সাধ্যমত আপনাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
করোনা ভাইরাস কে ইতিমধ্যেই যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ। তার জন্য আমাদের অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে এবং যেকোনো ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। তবে আমরা এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারব। মামুন মন্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ত্রাণ নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। তাই আমরা আমাদের নেতাকর্মীদেরকে বলেছি কোন ধরনের অনিয়ম যাতে না হয় সেদিকে আমি সহ আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা সতর্ক রয়েছি।
তিনি বলেন কিছু লোক আছে যারা আসলে দেশের দুর্দিনে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ফায়দা লুটতে চায়। এদের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন মানুষ আজ বড় অসহায়, বিপদের মধ্যে আছে। আর মানুষের এ দুর্দিনের সুযোগ নিয়ে যারা নিজেদের স্বার্থ আদায় করতে চায় তারা ইতিহাসে অবহেলিত হয়ে থাকবে চিরদিন।
সুতরাং নিজেদের স্বার্থ ভুলে গিয়ে আসুন আমরা গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। তাহলে ইহকালে এবং পরকালে আমাদের মুক্তি মিলবে ইনশাল্লাহ। আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল ছেলেবেলা থেকেই রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ থেকে বিপুল ভোটে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি গাজীপুর জেলা তরুণ সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি গাজীপুর মহানগর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জনপ্রিয়তার জন্য বার বার কাউন্সিলের নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের সাথে যুক্ত থেকে সেগুলোর সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এবং এলাকায় গরীব দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে সাহায্য করে যাচ্ছেন।
মানবিক এই কাউন্সিলর মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চান। এর জন্য আরও একটি বড় প্লাটফর্মে নিজেকে দাঁড় করিয়ে নিজের সেবাগুলো সিটি কর্পোরেশনে ছড়িয়ে দিতে চান। তাই আগামী সিটি নির্বাচনে তিনি মেয়র প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করতে চান। তার জন্য তিনি সকলের সমর্থন, দোয়া কামনা করেন।
তিনি বলেন মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে গাজীপুর মহানগর কে একটি আধুনিক মহানগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, মানুষের মত শুধু মুখের প্রতিশ্রুতিতে আমি বিশ্বাসী নই। আমি কাজ করে দেখিয়ে দিতে চাই। গাজীপুর মহানগর একটি শিল্প এলাকা। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি অধিকাংশ লোকের চাকরি চলে গেছে।অধিকাংশ পোশাক শ্রমিক ছাটাই হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিভিন্ন জটিলতার কারণে মহানগরে শিল্প-কারখানা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমি গাজীপুর মহানগর থেকে মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে, ইনশাল্লাহ এখানে যাতে করে আরও অধিক পরিমাণে শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে এবং মানুষের কর্মসংস্থান হয় সে লক্ষ্যে কাজ করবো।
এর জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই এবং মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার বাসনা পূর্ণ করে আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
সবশেষে তিনি বলেন, আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা করোনা নামক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আর সে যুদ্ধটি অবশ্যই আমরা সকলেই ঘরে থাকবো এবং করোনা থেকে মুক্তি পাবো ইনশাল্লাহ।