আদিয়াতের বয়স মাত্র তিন বছর। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হা’মলার সময় মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে ছিল সে। অবুঝ এই শি’শু বর্তমানে তার নানীর সঙ্গে রংপুর সার্কিট হাউজে আছে। কিছু বুজতে না পারলেও মা কবে ফিরবে তারই অ’পেক্ষায় আছে সে। সার্কিট হাউজে অবস্থানকারী ওয়াহিদা খানমের মা গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে জানান, আমা’র মে’য়েটাকে ঘুমের মধ্যে ওরা মে’রেছে আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি চাই।নাতির স’ম্পর্কে বলেন, ও তো কিছু বুজে না। তবে মায়ের জন্য তো নিশ্চয় মনে মনে ক’ষ্ট পাচ্ছে।
গেল বুধবার দিনগত রাত তিনটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজে’লা ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনে নিরাপত্তা প্রহরী নাহিদ পলা’শকে বেঁধে একটি কক্ষে আ’ট’কে রেখে ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা ভেল্টিলেটর খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে কু’পিয়ে জ’খম করে তারা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত স’ন্দেহভাজন চারজনকে আ’ট’ক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বর্তমানে ওয়াহিদা খানমের অবস্থা এখন অনেক ভালো। তার জ্ঞান ফিরেছে। অ’স্ত্রোপচারের ১১ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। হাসপাতাল সূত্রে এমনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতা’লের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্ম’দ জাহিদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার মা’থার ভাঙা হাড়ের ৭-৮ টুকরা অ’স্ত্রোপচারে জোড়া দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আ’ঘাতের কারণে আরও ছোট ছোট যে কা’টা ছিল সেগুলোও ঠিক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে অ’স্ত্রোপচার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
মোহাম্ম’দ জাহিদ হোসেন জানান, ৬ সদস্যবিশিষ্ট চিকিৎসক দলের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মা’থার জটিল অ’স্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে ওয়াহিদার অ’স্ত্রোপচার শেষ হলেও ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ইউএনও ওয়াহিদা সেরে উঠবেন সে ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও শ’ঙ্কামুক্ত নন বলে জানান তিনি।
মোহাম্ম’দ জাহিদ হোসেন বলেন, আম’রা আশাবাদী কিন্তু এটা হেড ইঞ্জুরির ব্যাপার, তার মা’থার ভেতর র’ক্তক্ষরণ হয়েছে এবং ব্রেনে আ’ঘাত লেগেছে। ব্রেনের ওপর একটা চাপ ছিল সেটা আম’রা রিলিফ করেছি। তবে এখনই ক্লিয়ারলি আম’রা বলতে পারব না যে রোগী ভালো হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ইট উইল টেক টাইম। অন্তত ৭২ ঘণ্টা আম’রা তার পরিস্থিতি অবজার্ভ করব। আম’রা আশাবাদী রোগী ভালো হয়ে যাবে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।